গৌরনদী সংবাদদাতা ॥ বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থীর ভাইয়ের গভীর ষড়যন্ত্রে ফেঁসে গিয়েছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মৎস্য কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে জেলেদের জন্য ৮০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সে অনুযায়ী খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নিবন্ধিত ২৪ জন জেলের মধ্যে আটজন জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।
চাল গ্রহণকারী জেলে কালাম হাওলাদার, উত্তম শিকদার, পূন্য হালদারসহ সাতজন জেলে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৮০ কেজি চাল পাওয়ার পর চাল নিয়ে গ্রামে আসি। একপর্যায়ে অন্যান্য নিবন্ধিত জেলেরা জানান তাদের ঘরে খাবার নেই। বিষয়টি শোনার পর আমরা আটজন জেলে নিজের ইচ্ছায় ২৪ জন জেলের মধ্যে সমভাবে চাল ভাগ করে নিয়েছি। এক্ষেত্রে ইউপি সদস্যের কোন দায়বদ্ধতা নেই। জেলে কালাম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৮০ কেজি চাল পাওয়ার পর ইদ্রিস মাতুব্বর নামের এক জেলে তাদেরকে আরো চাল দেয়ার কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে বুধবার তারা (কালাম মোল্লাসহ অন্যান্য জেলে) জানতে পারেন সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া ওই কাগজে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ইদ্রিস মাতুব্বর। ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ইদ্রিস মাতুব্বর গংদের শাস্তি দাবী করেন তারা।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, বিগত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে পরাজিত প্রার্থী কুদ্দুস মাতুব্বর। মঙ্গলবার তার ওয়ার্ডের আটজন জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। সেই চাল নিয়ে জেলেরা কি করেছে সেটা তার জানা নেই। তিনি আরও জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে ৮০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জেলেরা। অথচ পরাজিত প্রার্থী কুদ্দুস মাতুব্বর ও তার আপন ভাই ইদ্রিস মাতুব্বর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।